বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের শিক্ষক মিলনায়তন ও পিছনের গেট সংলগ্ন স্থানে ঝুকিপূর্ণ একটি লোহার পাইপের বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় আতংকে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বহু বছর পূর্বের স্থাপিত লোহার পাইপের খুঁটির মাটির সাথে নিচের অংশ মরিচা ধরে ভেঙ্গে গেছে। খুঁটিটি কোনমতে বাঁশ দিয়ে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে। খুঁটিতে চার তারের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন চালু রয়েছে। যেকোন সময় খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আতংকে থাকেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ঝুকিপূর্ণ এ খুঁটিটি পরিবর্তনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত দুই বছর আগে লিখিত ও মৌখিকভাবে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগকে জানালে তারা দীর্ঘদিনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব খুঁটি ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপটিকো) স্থাপন করা। ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপটিকো) স্থানীয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এই সঞ্চালন লাইনের দেখ ভাল করে।
বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিহাব রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের গেটের কাছে বৈদ্যুতিক খুঁটিটা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ। তার পরেও খুটি ও তারের নিচ থেকে আমাদের চলাচল করতে হয়। তাই আমারা চলার সময় ভেঙ্গে পরার আতংকে ও ভয়ে থাকি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ভিতরে এই ঝুকিপূর্ণ খুঁটিটাকে সরানোর জন্য বিদ্যালয় থেকে দুই বছর আগে লিখিত ভাবে বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমীন জানান, বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিটা দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কয়েকশত শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এছাড়া টিউবয়েল ও বাথরুম ব্যহারের জন্য খুঁটিটির কাছে যেতে হয়। কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
জেলা পরিষদ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভিতরে এমন ঝুকিপূর্ণ একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি খুবই দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ভিতর গেটের পাশে অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে খুঁটিটাকে সরানোর জন্য লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তথচ ওই ঝুকিপূর্ণ খুঁটি ও তারের নিচ দিয়েই সবাইকে চলাচল করতে হয়। হঠাৎ ভেঙ্গে গিয়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
কাঠালিয়া ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপটিকো) উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী দিপক মিস্ত্রী বলেন, কাঠালিয়া সরকারী মডেল পাইলট বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ পুরো লাইনটি দ্রæতই সরিয়ে বিদ্যালয়ের বাহির দিয় (পূর্বদিকে) নতুন লাইনের কাজ চলছে। ওই লাইনের সাথে বিদ্যালয়ের সংযোগ দেয়া হবে। যাতে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিমুক্ত থাকে।